সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

একমাসে পেনশন স্কিমে যুক্ত হয়েছে ১৩ হাজার মানুষ


 সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত কিস্তির টাকা জমা দিয়ে বিভিন্ন স্কিমে নিবন্ধন নিয়েছেন ১২৯৭০ জন। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিবন্ধন হিসাব করলে সংখ্যা অনেক বেশি হবে, তবে আমরা শুধু নিবন্ধনের হিসাব আমলে নিচ্ছি না। টাকা জমা দিয়ে আক্ষরিক অর্থে যারা যুক্ত হয়েছেন তাদের হিসাব নিচ্ছি। পেনশন স্কিমে সাড়া তুলনামূলক কম কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরণের একটি প্রোগ্রামের জন্য এক মাস বেশি সময় না। 

পেনশনের টাকা পাওয়া নিয়ে কোনো আস্থার সংকট রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা যদি সিস্টেমটা দেখেন, পেনশন স্কিম গ্রহণকারীকে এখনও যেমন কোথাও যেতে হয় না, ভবিষ্যতেও যেতে হবে না। আবেদনে তিনি একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দিয়ে দিচ্ছেন। তিনি যখন পেনশন পাবেন, তখন ইএফটি’র মাধ্যমে তার প্রাপ্য টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যাবে। 

প্রবাস স্কিম, প্রগতি স্কিম, সুরক্ষা স্কিম এবং সমতা স্কিম- এ চার স্কিম নিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে সরকার। চালুর প্রথম দিনেই এতে ব্যাপক সাড়া দেখা যায়। পেনশন বিধিমালা বলছে, সর্বজনীন পেনশন প্রথায় যার যত টাকা জমা, মেয়াদ শেষে তার তত বেশি পেনশন। অন্যদিকে, স্বল্প আয়ের মানুষদেরও বিমুখ করবে না এ উদ্যোগ। যারা মাসিক ৫০০ টাকা জমাবেন, তাদের জন্য শুরু থেকেই থাকবে সরকারের আরও ৫০০ টাকার ভর্তুকি। 

অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, পৃথিবীর বহুদেশেই চালু আছে জাতীয় পেনশন ব্যবস্থা। যেগুলো চলছে ঠিকঠাক। বাংলাদেশে সর্বজনীন পেনশন খাতে জমা হওয়া অর্থ যাবে লাভজনক বিনিয়োগে, তা থেকে প্রাপ্ত মুনাফাই জমা হবে স্কিমের হিসাবে। ফলে বেগ পোহাতে হবে না খুব একটা উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দেওয়া হয়। বহুল প্রতীক্ষিত সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) ১৭ আগস্ট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: