সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ আব্দুল হাই। পেশায় একজন শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি ব্যবসার সাথে জড়িত এবং একজন উদ্যোক্তা। প্রথমদিকে তার একটি গরুর খামার ছিল। খামারে গরু মোটাতাজা করনের পাশাপাশি তিনি মৎস্য অফিস থেকে মাছ চাষের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ২০১৭ সালে প্রাথমিক পর্যায়ে তার নিজস্ব আড়াই একর জমির উপর বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ শুরু করে লাভবান এর মুখ দেখলে খামার প্রসারের উদ্যোগ নেন। বর্তমানে তার মাছের খামার ৭ একর জমিতে রয়েছে। সেখানে তিনি দেশীয় মাছের পাশাপাশি কার্প মাছ চাষ শুরু করেন। করোনাকালীন সময়ে কুড়িগ্রাম সদরের বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড ( বিআরডিবি) থেকে করোনা প্রণোদনা হিসেবে ৪% সুদে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন এবং মাছ চাষের কাজে ব্যবহার করেন। বর্তমানে মৎস্য খামারটির মূল্য প্রায় এক কোটি ২০ লক্ষ টাকা এবং অস্থায়ী সম্পদের বাজার মূল্য ২৫ লক্ষ টাকা। প্রতিবছর মাছ চাষের বিনিয়োগ করেন প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। খামারটি থেকে প্রতিবছর আয় হয় ২০ লক্ষ টাকা। জানা যায়, মোঃ আব্দুল হাই কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মধ্য কুমরপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তিনি বলেন বেকার সমস্যা দূরীকরণ ও বাড়তি আয়ের জন্য মৎস্য চাষের বিকল্প নেই। তিনি আরো বলেন গ্রামীন বেকার যুবক যারা রয়েছে তারা উপজেলা মৎস্য দপ্তর থেকে মাছ চাষের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজ উদ্যোগে মাছ চাষ করলে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪
Author: Dhaka71
Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.
0 coment rios: