মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪

কাল বৈশাখীর ঝড়ে মোহাম্মদপুরে নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল পড়ে নিহত ১, আহত ৮ জন

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকায় রোববার রাতে ঝড়ে একটি নির্মাণাধীন ১৬তলা ভবনের দেয়াল ভেঙে পাশের টিনশেড ঘরের ওপর পড়ে। এতে ওই ঘরের বসবাসরত রেশমা বেগম (৩৫)। নামে একজন নারীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন তিন শিশুসহ বেশ কয়েকজন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাশের টিনশেড বাড়ির তিনটি রুম।


রবিবার  (৫ মে) রাত ১০টায় এই ঘটনাটি ঘটে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যান সি ব্লকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহ্ফুজ হক ভূঞা ।এ ঘটনায় আহত হয়েছেন, চার বছর বয়সী শিশু রুহান, সাত বছরের রাহাত, নয় বছরের রাফি, রুমা, লিমা, লুৎফা, ফারুক, নকিব। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কারো হাত ভেঙ্গে গেছে, কারো পা ভেঙ্গে গেছে, কয়েকজনের গুরুতর অবস্থা আহত হয়েছেন। নিহত নারীর রেশমার মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।


ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত ১০টার দিকে রাজধানীতে তীব্র ঝড় শুরু হয়। সেই সঙ্গে হয় শিলাবৃষ্টিও। এ সময় কিছু এলাকায় গাছ ভেঙ্গে পড়ে। এর মধ্যে মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যান সি ব্লকে এক নাম্বার রোডে ১৫ তলা ভবনের ১১ তলায় নির্মাণ করা দেয়াল ঝোড়ো বাতাসে ভেঙ্গে পাশের টিনশেড ঘরের পড়ে। এতে ঘুমন্ত অবস্থায় রেশমা নামে এক নারী মারা যান। আহত হন ৮ জন।


 স্থানীয়রা বলেন, এর আগেও একই ভবন থেকে রড পরে এক নারী আহত হয়েছিল, কিন্তু ভবন মালিক কন্ট্রাক্টরের গাফলতীর বিষয় কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এ বিষয়ে একাধিকবার কন্টাক্টরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। 


নির্মাণাধীন ভবনের একজন নিরাপত্তা কর্মী জাতীয় দৈনিক আলোচিত কন্ঠকে বলেন, গতকাল রাত ১০ টায় এই দুর্ঘটনা ঘটলে এখন পর্যন্ত ভবন মালিক কেউ আসেনি এই ভবনটি ৮৩ জন মিলে শেয়ারিং করে নির্মাণ করছেন। এ ঘটনায় পুলিশ গতকাল রাতে এসে আমাদের ৬ জন নিরাপত্তা কর্মীকে থানায় নিয়ে গেছে, এখন পর্যন্ত মালিক পক্ষ কেউ আসেনি এমনকি কন্ট্রাক্টরও আসেনি। 


মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহ্ফুজ হক ভূঞা বলেন, গতকাল রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে একটি বাড়ির দেয়াল ভেঙ্গে একটি টিনশেড বাড়ির উপর পড়লে একজন নিহত হয়েছে এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন, এখন পর্যন্ত কোনো ভুক্তভোগী থানায় আসেনি, থানায় আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: