বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, ২০২৪

আলফাডাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারে পূূর্ব শত্রুতার জেরে দুই পক্ষের হামলায় গুরুতর আহত তিন জন

 


আরিফুজ্জামান চাকলাদার: ফরিদপুরের  আলফাডাঙ্গা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারে পূূর্ব শত্রুতার জেরে দুই পক্ষের হামলায় গুরুতর আহত তিন  জন।গত বুধবার( ১৯ জুন) রাত ৯ টার দিকে সদর ইউনিয়নে বারুই পাড়া গ্রামে ইঙ্গুল মোল্লা ও ইকরাম মোল্লা গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। আহতরা হলেন -ইঙ্গুল মোল্লা গ্রুপের ১) রিপন সরদার (৩০) ,পিতা-বাচ্চু সরদার, ২) আজিজার শেখ (৪২) পিতা-আইয়ুন উদ্দিন ও ইকরাম মোল্লা গ্রুপে  তার ছেলে ইমরান মোল্লা   উভয়ের গ্রাম

-বারুইপাড়ায়।

ঘটনার খবর পেয়ে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত জনতার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

স্থানীয়রা আহত ব্যক্তিদের আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঐ রাতেই ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

বর্তমানে আহত ব্যক্তিরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।


স্হানীয়ভাবে জানা যায়,  ইকরাম মোল্লা ও ওলিয়ার মোল্লা আপন দুইভাই স্হানীয় ভাবে গ্রুপ চালায়।বিভিন্ন সময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ লেগে থাকে।চার বছর পূর্বে  ওলিয়ার মোল্লার দলের লোকজন ইকরাম মোল্লা ও তার ছেলে ইমরানের হাত পা ভেঙ্গে ও কুপিয়ে মারাক্ত জখম করে। তারপর ইকরাম গ্রুপের লোকজন ওলিয়ার গ্রুপে লোকের উপর হামলা করে।গতকাল রাতে মহিষারঘোপ বাজার হতে রাত ৯ টার দিকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলে আজিজারের বাড়ির সামনে গেলে ইকরাম মোল্লার লোকজন ওলিয়ার মোল্লার দলের লোক আজিজার শেখ ও রিপন সর্দারের উপর হামলা চালায়।হামলার সময় ইকরামের ছেলে ইমরান ও আহত হয়। আরো জানা যায়, ওলিয়ার মোল্লা ইউনিয়ন রাজনীতিতে পরাজিত চেয়ারম্যান  রাজ্জাক শেখ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আহাদুল হাসান আহাদ ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার নির্বাচনে পরাজিত  সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুল হাসান জাহিদ এর অনুসারী এবং ইকরাম মোল্লা বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান  সোহরাব হোসেন বুলবুল,সাবেক মেয়র সাইফুর রহমান সাইফার ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মনিরুল হক অনুসারী।ইকরাম মোল্লা সমর্থিত গ্রুপ ৫ জুনে উপজেলা নির্বাচনে  বিজয়ী হলে মনোবল বেড়ে যাওয়ায় পূর্বের হামলার প্রতিশোধ নিচ্ছে ।

এদিকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আহাদুল হাসান আহাদ বলেন,এটা গ্রাম্য দলীয় পূূর্ব শত্রুতার  মারামারি। কোন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মারামারি করি না।

উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মনিরুল হক বলেন,রারুইপাড়া মারামারি অনেক আগের থেকে ২০,৫০ বছরের। নৌকা কাপ পিরিস তো এখন, আমার দলের কাজ করে মারামারি করলে সেটা আামার মাথা ব্যাথা নাই।


এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন ঘটনার খবর পেয়ে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে, এ ঘটনায় উক্ত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: