মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০২৪

চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে সতর্কতা জারি করেছে বিজিবি

 


খলিলুর রহমান, সাতক্ষীরা : বাংলাদেশে এবার কমেছে চামড়ার দাম। ফলে ঈদের পর অবৈধ পথে ভারতে চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে সতর্কতা জারি করেছে বিজিবি।  সাতক্ষীরার ২৭২ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি ও পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এছাড়া সীমান্ত এলাকার সড়কগুলোতে যানবাহনে তল্লাশি করা হচ্ছে।

সাতক্ষীরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দু’টি ব্যাটালিয়নের অধীনে জল ও স্থল মিলে সীমান্ত এলাকা রয়েছে ২৭২ কিলোমিটার। এই দীর্ঘ সীমান্তের চোরাঘাট দিয়ে চামড়াসহ বিভিন্ন পণ্য চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে একাধিক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। দেশে সবচেয়ে বেশি কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা হয় ঈদুল আজহায়। এ সময় দেশে বিভিন্ন ধরনের পশু কোরবানি করা হয়, যা থেকে সারা বছরের অন্তত ৬০ শতাংশ চামড়া সংগ্রহ হয়। আবার এই সময়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও পাচারকারী সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করে কাঁচা চামড়া। এবার কোরবানির পশুর চামড়ার দাম অপেক্ষাকৃত কম হওয়ায় পাচারের আশঙ্কা বেশি করে দেখা দিয়েছে।

সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি সূত্র জানায়, ঈদের পর পশুর চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি। একই সাথে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। চোরাই পথে গরু আমদানি ও চামড়া পাচার প্রতিরোধে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জেলার চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, একটা চামড়া প্রস্তুত করতে শ্রমিক মজুরি, লবণ, পরিবহন ও অন্যান্য খরচ বাবদ ৩০০ টাকা পড়ে। সরকার একটা চামড়ার দাম এক হাজার টাকা বেধে দিলেও, বড় গরু ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা এবং মাঝারি ৪০০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকায় কেনা যায়।

সাতক্ষীরার চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, ট্যানারি মালিক সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ীরা। ট্যানারি মালিকরা সময়মতো বকেয়া পরিশোধ না করায় এবারও সাতক্ষীরায় কোরবানির পশুর চামড়ার বাজারে ধ্বস নামতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী বলেন, সীমান্ত পথে চামড়া পাচার রোধে পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। সীমান্তের সড়কে কোনো চামড়াবাহী যানবাহন ঢুকতে পারবে না। অন্য জেলা থেকেও চামড়াবাহী কোনো যানবাহন সাতক্ষীরা জেলায় প্রবেশ করতে পারবে না। তবে সাতক্ষীরা জেলার চামড়া ব্যবসায়ীরা তাদের সংগৃহীত চামড়া যশোর ও ঢাকার আড়ত এবং ট্যানারিতে নিয়ে যেতে পারবেন।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: